বেশ সুখেই আছি আমি
এস, আর লোটাস
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
কত শ্বাসন! কত রকম মান-অভিমান,
কত অভিযোগ! বিশেষায়িতের ধারা!
সব চুকে দিয়ে স্বাধিন করলে আমায়,
স্বাধিকার হলে তুমি,
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
"সামনে দাঁড়িয়ে নাক খুটখুট করবে না,
দাঁত খিলাল করতে হয় বাইরে গিয়ে করো,
আর আমায় ছেড়ে দূরে গিয়ে মরো",
বলতে তুমি।
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
"খবরদার পাশে শুয়ে নাক ডাকবে না,
পাখা-আলো নিভিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়ো",
এমনটি আর শুনতে ও বলতে হয় না বলে-
বড্ড স্বাধিন আজ আমি ও তুমি।
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
"এত রাতে আসলে কেন? বাইরেই থাকতে!"
ঘুমঘুম চোখে দ্বার খুলতে পারবে না বলে,
কতই না রাঙা চোখের ভাষা বুঝতে হয়েছে,
সেই বকবকানি বউ তুমি,
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
গরমের তাপাদহে ঘর্মাক্ত শরীরেই ঘরে ঢুকি,
মূখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, মাথায় ঝাঁকড়া চুল,
বলার নেই তুমি,
বড্ড স্বাধিন আজ আমি ও তুমি,
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
ক
নকনে শীতের সকালে গরম জল করে,
শ্বাসন ভঙ্গিতে ঠেলে ঠেলে বাথরুমে পাঠানোর,
নেই তুমি,
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।
এতো সুখ, এতো স্বাধিনতার মাঝেও,
ভারী একাকিত্বের চাপ নিয়ে কাঁদি,
কি নেই যেন, অন্তঃসারশূন্য
সুখের ঘেরা,
এই আমি,
আজ তুমি কাছে নেই,
বেশ সুখেই আছি আমি।।