Computer Trouble & Get Solution-02


কম্পিউটার সংক্রান্ত কিছু কমন সমস্যা
ধারাবাহিক পর্ব-০২
(১১ হতে ২০ পর্যন্ত সমস্যা দেখানো হল)

যারা পূর্বের পর্ব পড়েন নাই তারা এখানে ক্লিক করে ১ম পর্ব পড়তে পারেন।


11. মনিটর ঝাপসা বা ছবি কাঁপলে কি করতে পারি?

সমাধান: যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা এটি কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মনিটর ও গ্রাফিক্স কার্ডের রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। যদি উইন্ডোজ লোড হওয়াকালীন এই সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন মনিটরের রিফ্রেশ রেট ভুলভাবে সেটিংস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সিস্টেম বুট হবার পর যখন Starting Windows মেসেজটি দেখবেন তখনই কী-বোর্ডের এফ৮ চেপেসেফ মোডে উইন্ডোজ চালু করুন। এর গ্রাফিক্স/ডিসপ্লে প্রোপার্টিজে গিয়েরিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।


12. মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন-এর সমাধান কি?

সমাধান: যদি মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন দেখা যায় এবং চালু করতে গেলে মনিটর কাঁপতে থাকে বা চালুই হয় না তখন বুঝতে হবে একহয় আপনার ডাইরেক্ট এক্স পুরাতন অথবা গ্রাফিক্স কার্ডের লেটেস্ট ড্রাইভার নেই। তাই সবসময় লেটেস্ট ডাইরেক্ট এক্স ব্যবহার করবেন ও গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপডেটেড রাখবেন। এরপরও সমস্যা থাকলে বুঝতে হবে আপনার ভিডিও কার্ড ও উইন্ডোজের মধ্যে কম্পাটিবিলিটিতে সমস্যাআছে। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ কাউকে দেখান অথবা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।



13. সিডি ড্রাইভ থেকে সিডি ঠিকমতো বের হয় না

সমাধান: সিডি যদি ড্রাইভের Eject বাটন চাপার পরও বের না হয় তখন বুঝতে হবে সিডিটি এখনও রান করছে। তাই অপেক্ষা করুন। তবে নিয়মিত এই সমস্যাটি হলে বুঝতে হবে সিডি ড্রাইভের মেকানিজমে সমস্যা। বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।


14. প্রসেসর থার্মাল ট্রিপ ওয়ার্নিং

সমাধান: আপনার পিসির প্রসেসরের ফ্যানে খুব বেশি ধুলো জমে গেলে তা পরিস্কার করুন। তাতেই কাজ না হলে হিট সিংক পেস্ট নতুন করে লাগান। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। সবার আগে প্রসেসরের ফ্যান শক্তভাবে প্রসেসরের উপর লাগানো আছে কিনা তা দেখে নিন।



15. পিসি টু পিসি কথা বলার সহজ উপায় কি?

সমাধান: আপনিতো খুব সহজেই গুগল,ইয়াহু এবং স্কাইপে ব্যবহার করেই ভয়েস চ্যাট করতে পারেন নেটে। পিসি-পিসি কথা বলার জন্য এর চেয়ে সহজ কিছু হতে পারে না। মেসেঞ্জারের ভেতর অপশন থেকেই খুব সহজেই মাইক্রোফোন সেট করে নিতে পারেন। এর জন্য ওয়েবক্যামের কোনো প্রয়োজন নেই।



16. ইউএসবি ক্যাবল দিয়ে ডাটা ট্রান্সফার করতে চাই

সমাধান: দুঃখিত, কোনোভাবেই এভাবে ডাটা ট্রান্সফার করা সম্ভব না।



17. উইন্ডোজের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল কি?

সমাধান: প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে আপনি পিসিতে আওন্য আরেকজন ইউজারের যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অন্য নতুন একটি ইউজার একাউন্ট তৈরির মাধ্যমে আপনি সে কতক্ষণ পিসি চালাতে পারবে, কি কি কাজ করতে পারবে, কোন কোন প্রোগ্রাম/গেমস চালাতে পারবেন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।


18. উইন্ডোজ ৭ রেডিবুষ্ট কি?

সমাধান: যাদের পিসিতে র‍্যাম কম আছে তারা চাইলে উইন্ডোজের রেডিবুস্ট ফিচার ব্যবহার করে বাড়তি র‍্যামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন। কম্পিউটার দুই ধরণের মেমোরি ব্যবহার করে চলার সময়। একটা হচ্ছে হার্ডডিস্ক আরেকটা র‍্যাম। দুইটার পার্থক্য হচ্ছে র‍্যাম শুধু কম্পিউটার চলার সময় তথ্য জমা রাখতে পারে,পাওয়ার চলে গেলে সব তথ্য মুছে যায় কিন্তু হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে তা হয় না। কিন্তু র‍্যাম হার্ডডিস্ক অপেক্ষা অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে বলে কম্পিউটার কাজ করার সময় র‍্যামের মেমোরিই ব্যবহার করে।

উইন্ডোজ সেভেনে আপনি চাইলে আপনার পেনড্রাইভকেও র‍্যামের মেমোরির মতো ব্যবহার করে পিসির সার্বিক পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে পারবেন। অবশ্য ভিসতাতেও এটা করা সম্ভব।

** এজন্য আপনার পেনড্রাইভটি ইউএসবি পোর্টে লাগান। কমপক্ষে ৪ গিগাবাইট মেমোরি বিশিষ্ট র‍্যাম একাজে ব্যবহার করাটাই ভাল।

** পেনড্রাইভে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান। উপরের রেডিবুষ্ট ট্যাবে ক্লিক করুন।

** প্রথমেই তিনটি অপশন দেখবেন। প্রথমটির মানে তো বুঝতেই পারছেন,নেতিবাচক। পরেরটি সিলেক্ট করার অর্থ ডিভাইসটির পুরোটাই তথা সম্পূর্ণ মেমোরি রেডিবুষ্ট ব্যবহার করবে। তবে ৩ নাম্বারটি নির্বাচন করাই হবে বুদ্ধিমানের মতো কাজ।এটি দিয়ে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো মেমোরি উইন্ডোজকে ব্যবহারের জন্য দিতে পারবেন। তবে উইন্ডোজ নিজেই একটা এমাউন্ট রেকমেন্ড কররে আপনাকে।

এখন ওকে দিলেই রেডিবুষ্টের খেল শুরু। আপনি চাইলে হাই পারফরম্যান্স গেম খেলার সময় এই অপশন দরকারমতো ব্যবহার করে পারেন।



19. সিস্টেম রিস্টোর সেটিংস কনফিগারের উপায়

সমাধান: সিস্টেম রিস্টোর নিঃসন্দেহে উইন্ডোজের অন্যতম সেরা সিস্টেম প্রোটেকশন টুল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি যদি খুব বেশি সফটওয়ার ইন্সটল বা আনইন্সটল করে থাকেন তাহলে এই সিস্টেম রিস্টোর আপনার পিসিতে কয়েক গিগাবাইট পর্যন্ত স্পেস দখল করে ফেলতে পারে। তাহলে এখন কি করবেন? বলছি শুনুন-

** মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান। বামপাশের মেনু থেক সিস্টেম প্রোটেকশনে যান।

** সিস্টেম প্রোটেকশন ট্যাব থেকে কনফিগারে ক্লিক করুন।

** সিস্টেম রিস্টো্র পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইলে টার্ণ অফে ক্লিক করে এপ্লাই ওকে করুন।

** অথবা সিস্টেম রিস্টোর অন রেখেই ডিস্ক স্পে ইউজেস থেকে ম্যাক্সিমাম ইউজেস ঠিক করে দিন। তাহলেই আর কোন সমস্যা হবে না।


20. ইউএসবি পপ আপ মেসেজ অফ

সমাধান: যখনি আপনি নতুন কোন ইউএসবি ড্রাইভ পোর্ট-এ লাগান তখনি নোটিফিকেশন এরিয়াতে একটি পপ আপ মেসেজ ভেসে উঠে যে দিস ডিভাইস ক্যান পারফর্ম ফাস্টার- যা কিনা বিরক্তির উদ্রেক করে। এবারে এটিকে বন্ধ করার নিয়ম বলব আপনাদের।
 
পরবর্তী সমস্যাগুলির সমাধান শীঘ্রই ধারাবাহিকভাবে দেয়া হবে- অথবা আপনার কাঙ্খিত সমস্যার সমাধান পেতে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করুন----------


SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post